পরমাণুতে বড় হিসাবে পর্বতমালা - নিউট্রন তারার ব্যাখ্যা | Kurzgesagt

🎁Amazon Prime 📖Kindle Unlimited 🎧Audible Plus 🎵Amazon Music Unlimited 🌿iHerb 💰Binance

ভিডিও

ট্রান্সক্রিপ্ট

নিউট্রন নক্ষত্ররা হচ্ছে মহাবিশ্বের সবচেয়ে জবরদস্ত ও বড় বস্তু

তারাব অনেকটা বিশাল এক অনুর কেন্দ্রকের মত |

ব্যাসরেখা কয়েক কিলোমিটার, অবিশ্বাস্য ঘন, এবং উগ্র|

কিন্তু এমন বড় একটি জিনিস কিভাবে বিদ্যমান থাকে?

একটি নক্ষত্রের জীবন দু ধরনের বলের সমতা দিয়ে শাসিত|

তার নিজের গ্রাভিটি সৃষ্টি হয় মুলত তার পরমানুবিক বিকিরন ও একীকরণের চাপের ফলে |

নক্ষত্রের কেন্দ্রে, হাইড্রোজেনকে একীভূত হয়ে হীলিয়াম্ তৈরি হয়

অবশেষে তার কেন্দ্রকের হাইড্রোজেন ফুরিয়ে যায় |

যদি নক্ষত্রটি যথেষ্ট বড় হয়ে , তাহলে হীলিয়াম্কে একীভূত হয়ে কার্বন তৈরি হয় |

এইসব বিশাল নক্ষত্রের কেন্দ্রকে স্তর তৈরী হয়, যা দেখতে অনেকটা একটি পেয়াজের মত |

কেন্দ্রকের যত ভিতরে ততটাই ভারী পদার্থ তৈরী হয় |

কার্বন একীভূত হয়ে নিয়ন হয়, যেটি পরে অক্সিজেন, ও আরোও পরে সিলিকোনে রুপান্তরিত হয় |

অবশেষে, এই একীভূত প্রতিক্রিয়া আইরন এসে ঠেকে যায় | যা আর একত্রিভফুত হতে পারেনা ।

যখন ফিউশন বন্ধ হয়ে যায় তখন বিকিরন চাপ দ্রুত কমে যায় ।

তারকাটির মধ্যে তখন আর টিকে থাকার মত সাম্যতা থাকে না।

এবং যদি এর কেন্দ্রের ভর ১.৪ সৌর ভরের বেশি অতিক্রম করে

তখন বড় ধরনের দুর্যোগ ঘটে যায়

কেন্দ্রের বহির্ভাগের সর্বোচ্চ ৭০০০০ কিমি/সে বেগে গতি প্রাপ্ত হয়

তখন তারকাটি ভেতরের দিকে সংকুচিত হতে থাকে

তখন, একমাত্র পরমানুর মৌলিক বল

বাকি থাকে যা তারার কেন্দ্রমুখি অভিকর্ষের সাথে বিপরিত মুখি বলে সংগ্রামে লিপ্ত থাকে

ইলেক্ট্রনের কোয়ান্টাম মেকানিকাল বিকিরন ছাড়িয়ে যায়

এবং ইলেক্ট্রন ও ফোটন মিলে গিয়ে নিউট্রনে পরিনত হয়

এতই ঘন হয় যে তা আনবিক নিউক্লিয়াসে পরিবর্তিত হয়

তারার বাহিরের আবরন ফেপে ওঠে ছড়িয়ে পরে

একটি বড় ধরনের সুপারনোভা বিস্ফোরনের দ্বারা

তাই এখানে পরে থাকে একটি নিউট্রন তারা

এর ভর ১ থেকে ৩ টি সূর্যের সমান হয়ে থাকে

কিন্তু তা মাত্র প্রায় ২৫ কিমি ব্যসের একটি প্রচন্ড ঘন বস্তুতে পরিনত হয়

আর তা পৃথিবীর চেয়ে ৫০০০০০ গুন বেশি ভরের ছোট্ট একটি গোলক হিসেবে থাকে

যা মুটামুটি অনেকটা ম্যানহাটন শহরের আয়তনের সমান

একটি নিঊটড়ন তারার এক ঘনক/কিউবিক সেন্টিমিটার এর ভড়

এই পৃথিবীর প্রায় ৭০০ মিটারের লোহার ঘনকের ভরের সমান

যা মুটামুটি ১ বিলিয়ন টন, প্রায় মাউন্ট এভারেস্টের ভরের সমান

যার তুলানামুলক আয়তন একটি চিনির কিউবের সমান

নিউট্রন তারার আভিকর্ষ ও আশ্চর্য্যজনকও বটে

আপনি যদি ১ মিটেরে কোনো বস্তু নিক্ষেপ করেন নিউট্রন তারাতে

সেই বস্তুটি ১ মাইক্রোসেকেন্ডের মধ্যেই ঘন্টায় ৭.২ মিলিয়ন কিমি গতিতে পৌছে যাবে

এই তারা উপরিভাগ এতোই মশ্রিন যে, এর সর্বোচ্চ এব্রোথেব্রোতা মাত্র ৫ মিলিমিটার

সেই সাথে অবিশ্বাস্য পাতলা মন্ডল(বায়ু মন্ডলের ন্যায়) আছে যা অবিশ্বাস্য গরম প্লাজমা দ্বারা তৈরি

এর উপরিভাগের তাপমাত্রা প্রায় ১ মিলিয়ন কেলভিন

যার তুলনায় আমাদের সুর্য্যের উপরিভাগের তাপমাত্রা ৫৮০০ কেলভিন

চলুন দেখি নিউট্রন তারার ভেতরের খবর

এর ভুপৃষ্ঠ মারাত্মক ধরনের শক্ত আর যা তৈরি অনেকটা

লোহার এটম নিউক্লি লাইট্টসি দ্বারা ও তার উপরে রয়েছে ইলেক্ট্রনের ভাসমান সাগর

যত অভ্যন্তরে যাব, তত বেশী নিউট্রন আর তত কম প্রোটন দেখতে পাব

শেষে আলদাভাবে পৃথক করা যায় এমন নিউট্রনের অত্যাধিক ঘন দ্রবণ পাব

নিউট্রন নক্ষত্রের অভ্যন্তর খুবই বিদঘুটে

আমরা এখনো ওদের বৈশিষ্ট্য জানি না, কিন্তু আমাদের সবচেয়ে ভাল ধারনা হল

সুপারফ্লুয়িড নিউট্রন ডিজেনারেট মেটার

অথবা কোয়ার্ক-গ্লুওন প্লাজমা নামের অত্যাধিক ঘন কোন কোয়ার্ক বস্তু

সাধারন অর্থে এর কোন মানে বের করা যায় না

শুধু অতীব চরম পরিবেশে এটি থাকতে পারে

নিউট্রন নক্ষত্র অনেক খানি একটি বিশাল পরমানুর অভ্যন্তরের মতই

তবে মুল পার্থক্য হল, পরমাণুর অভ্যন্তরটা একসাথে বাধানো থাকে

শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া এবং নিউট্রন নক্ষত্র মাধ্যাকর্ষণের মাধ্যমে

যেন এর চেয়ে চরম কিছু হতে পারে না

চলুন, আরও কিছু বৈশিষ্ট্য দেখি

নিউট্রন নক্ষত্র জোরে জোরে ঘুরে, নবীনগুলো প্রতি সেকেন্ডে বেশ কয়েকবার

নিউট্রন নক্ষত্রকে উৎসাহিত করার জন্য কাছে যদি কোন দুর্বল নক্ষত্র থাকে

এটি প্রতি সেকেন্ডে কয়েক শত বার ঘুরতে পারে

যেমন PSRJ1748-2446ad

এটা প্রতি ঘণ্টায় প্রায় শোওয়া ২৫ কোটি বার ঘুরতে পারে

এটা দ্রুত হয় যে, নক্ষত্রের আকার পরিবর্তন হয়ে অদ্ভুত আকৃতির হয়ে যায়

এটাকে “পালসার্স” বলে, কারন এটা খুবই শক্তিশালী রেডিও সিগ্নাল নিঃসরণ করে

আর নিউট্রন নক্ষত্রের চৌম্বক ক্ষেত্র

পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র ৮ লক্ষ কোটি গুন শক্তিশালী

এত শক্তিশালী যে, কোন পরমানু কাছে আসলে এর প্রভাবে বেঁকে যায়

আচ্ছা, বিষয়টি হয়ত তুলে ধরতে পেরেছি

নিউট্রন নক্ষত্র অন্যতম চরম হলেও

কিন্তু মহাবিশ্বে সবচেয়ে ঠাণ্ডা বস্তু

আশা রাখি, আমরা কোনদিন নভোযান পাঠাতে পারব, ওদের ব্যাপারে আরও জানার জন্য

আর ওদের ছবিও তুলতে পারব

কিন্তু মোটেও ওদের কাছে যাওয়া যাবে না

সাবটাইটেল সৌজন্যঃ Amara.org কমিউনিটি