ইরাকে আইএসআইএস, সিরিয়া এবং যুদ্ধ নিয়ে ব্যাখ্যা। | Kurzgesagt

🎁Amazon Prime 📖Kindle Unlimited 🎧Audible Plus 🎵Amazon Music Unlimited 🌿iHerb 💰Binance

ভিডিও

ট্রান্সক্রিপ্ট

সুপ্রিয়, যখন আপনি ভাবছেন ইরাকের সমস্যা সমাধান হয়ে গেছে

কারন আপনি এই বিষয় সর্ম্পকিত কিছু এক মুহুর্ত্বের জন্যও শুনছেন না

হত্যাকারী, সন্ত্রাস ও বিশৃংখলা থেকে সব ফিরে এসেছে

কি হয়েছিল ?

২০০৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরাক আক্রমণ করে কারন হিসেবে দেখানো হয়েছিলো কথিত সন্ত্রাসবাদ ও তার সাথে সম্পৃক্ততা

এবং গনবিধ্বংসী অস্ত্রের।

সেই সময় সাদ্দাম হোসাইন ,একনায়ক তন্ত্রের মধ্যে দিয়ে বর্ববর ভাবে দেশ শাষন করছিলেন

তিনি সংখ্যালঘু সুন্নি সম্প্রদায়ের অংশছিলেন

এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ শিয়া সম্প্রদায়কে দমন করতেন।

ইরাক কে দ্রুতই দখল করে নেয় হয়

কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের, দেশটির জন্য কোনো পরিকল্পনাই ছিলো না।

যতক্ষন, তারপর দমন নিপিড়নের শিকার শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠরা দেশ দখলে নেয়

এবং তারপর থেকেই সুন্নী নিপিড়ন শুরু হয়

কারন অন্য ধর্ম বিশ্বাস দমন ছিলো একটি প্রামানিত কর্যকর প্রক্রিয়া

তাতে স্বভাবতই সুন্নী বিদ্রোহ শুরু হয়,

এবং এর মধ্য দিয়ে সন্ত্রাসী সংগঠন যেমন আলকায়েদা ইরাকে প্রবেশ করে

এবং স্থানীয় বাহিনী. প্রায়শই সাবেন সুন্নী মিলিটারি

আমেরিকার সৈন্য ও নতুন ভাবে সংগঠিত ইরাকের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করে।

২০০৬ সালে এই রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধ চুড়ান্ত রূপ ধারণ করে

তখন থেকে ইরাকের মানুষ মূলত ধর্ম দ্বারা পৃথক হয়ে যায়

তো, ইতিহাসের এই নৃসংশ ও বিদ্রুপকরার মত ঘটনার পর, আগ্রসন কারী দেশ যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে

প্রথম ধাপেই তৈরীকৃত সন্ত্রাসী দলগুলো নিমূল করতে চেয়েছিলো

কারন ইরাক তখন সন্ত্রসী ও সন্ত্রাসবাদ প্রশিক্ষনের মোক্ষম স্থান হয়ে উঠেছিলো

এই কঠিন দ্বন্দকে ভালো করে জানতে হলে আমাদের জানতে হবে

মুসলিম বিশ্বাসের প্রধান দুটি মতবাদ সম্পর্কে

শিয়া এবং সুন্নী

মুসলিম বিশ্বের প্রায় ৮০% জনগোষ্ঠী সুন্নী এবং ২০% শিয়া

এবং উভয় পক্ষই একে অপর কে তীব্র ভাবে অপছন্দ করে।

সৌদি আরব এবং ইরান সবচেয়ে শক্তিশালী খেলোয়ার এই বিশ্বাস বা মতবাদের খেলার

এই দুই দেশেরই অভ্যন্তরীন কোনো বিভক্তি নেই ধর্মও দেশীয় বিষয়ে, এবং

তাদের আছে তেল বিক্রিয়র প্রচুর টাকা

এবং তারা অন্য মতবাদের দিকে ঝোঁক থাকা দল গুলোকে যুদ্ধ করার জন্য সমর্থন ও করে

এবং অন্যতম সন্ত্রাসী সংস্থা সৌদী আরব কর্তৃক সমর্থনপুষ্ট

যার নাম ছিলো ইসলামিক স্টেট ইন ইরাক বা সংক্ষেপে ISI

২০১০ আবর বসন্ত ঘটে

এবং মধ্যেপ্রাচ্যের সম্পূর্ন পরিস্থিতিই বদলে যায়

সিরিয়াতে, একনায়কবাদী বাসার আল আসাদ পদত্যাগ করতে অস্বীকৃতি জানায়

এবং তিনি নিজেদের নাগরিকের বিরুদ্ধেই এক বিভীষিকাময় গৃহযুদ্ধ শুরু করেন

এই সময়ের মাঝে অনেক বিদেশী দল এই গৃহযুদ্ধে যোগদিতে শুরু করে

তাদের মধ্যে বেশির ভাগই ধর্মীয় কারনে যোগ দেয় যুদ্ধে

এবং এই অঞ্চলে এক ইসলামি রাষ্ট্র গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে

তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলো অপরিচিত ISI

বর্তমানে যা ইসলামিক স্টেট ইন ইরাক এন্ড সিরিয়া বা আইএসএইএস নাম ধারণ করেছে।

তারা ইরাকে বছরের পর বছর যুদ্ধ করেছে এবং

তাদের ছিলো হাজারের বেশি প্রশিক্ষিত, গোঁড়া মতবাদের যোদ্ধা।

তারা ইতোমধ্যেই ইরাকের উত্তরাঞ্চলের অর্ধেক নিয়ন্ত্রন করছিলো

এবং তারা খুবই অবিচল ছিলো একটা ধর্মীয় রাষ্ট্র গড়ে তোলার বিষয়ে

এবং অপ্রত্যাশিত ভাবে সিরিয়ার এই পরিস্থিতিকে পরিবর্তন করে

ISIS ছিলো অবিশ্বাস্য বিধ্বংসী এবং চরমপন্থী,

অতিশীঘ্রই তারা সিরিয়ান বিদ্রোহী সেনা দলের সাথে মিলে যুদ্ধ করতে শুরু করে

তারা আক্রমন ও হত্যা করতে শুরু করে অন্য মুসলিম সন্ত্রাসী দলের সদস্যকে

এই অঞ্চলটি তারা নিয়ন্ত্রনে নেয় এবং তারা এখনে ইসলামিক স্টেটের ভিত্তি নির্মান করে

সেখানে তারা আলকায়েদা চেয়ে বেশি কঠোন নিয়ম ও আইন চালু করে এবং

এতে করে সৌদি আরব বিস্মিত হয়ও ISI থেকে তাদের সমর্থন উঠিয়ে নেয়

ISIS সাধারণ মানুষকে বহুমুখী গনহত্যার তায়ে অভিযুক্ত ও দায়বদ্ধ হয়

অসংখ্যা আত্মঘাতী হামলা, নারী ও শিশু বন্ধী এবং জিম্মি

বন্ধীদের ফাঁসি দেয়া এবং শিরচ্ছেদ করা

সবধরনের মধ্যযুগীয় নির্যাতন যা আমরা ভাষায় প্রকাশ করতে পারি না।

এবং মানুষের এই সুদৃশ্য সমাবেশে সম্প্রতি সিধান্তে নেয়া হয় “এটাই সময়:

ইরাকের আরো জায়গা আয়ত্তে নেয়ার

যুক্তরাষ্ট্র ইরাক ছেড়ে যাবার পর থেকে, শিয়া প্রধানমন্ত্রী নূরী আল মালিকি

একচেটিয়া ভাবে ক্ষমতাকে পক্ত করে, এবং সম্ভাব্য যেখানে যেখানে সম্ভব সব জায়গায় সুন্নীদের প্রতি বৈষম্য করতে থাকেন।

ইরাক সরকার দূনীর্তিগ্রস্থ ও অযোগ্য হিসেবে গন্য হয়

এবং সম্প্রতি দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠী এই সরকারকে ঘৃণা করতে শুরু করছে

ইরাকি আর্মিতে প্রায় ৩০০,০০০ সৈন্য আছে

যা ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যবহার করে তৈরি করা হয় ট্যাক্সের টাকা থেকে

কিন্তু এই বাহিনী সরকার প্রতি অনুগত নয় এবং

এই আর্মি তুলে নেয়া হয়েছে বা সম্পূর্ণ ভেঙ্গে গেছে , এরা একের পর এক শহর ছেড়ে দিয়েছে

কারন ISIS ঘোষণা করেছে যে যারাই ISISএর বিরোধীতা করবে তাদের হত্যা করা হবে

তারা তাদের কাজের অর্থ এর মধ্য দিয়ে প্রমান করেছে

২০১৪ এর জুনে ISIS ইরাকে একটি বড় অংশ জয় করে নেয়

তার মধ্যে মুশুল ও ছিলো যা ইরাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর

তারা ব্যাংক গুলো দখল করে সেখান হতে শত শত কোটি অর্থ চুরি করে

এবং পৃথিবীতে সবচেয়ে ধনী সন্ত্রাসী সংস্থাতে পরিনত হয় তারা

এবং ক্রমাগত তারা, তাদের প্রতিষ্ঠায় কাজ করেই যাচ্ছে।

একটি অসাধারণ মধ্যযুগীয় ধর্মীর রাষ্ট্রের জনো।

ইরান এবংমার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ISIS এর বিরুদ্ধে এক সাথে যুদ্ধ করা উচিত বিবেচনা করে

এভাবে একটি বিভীষিকাময় অবস্থার তৈরি হয়

ইরাকের ঘটনাবলী আবার পরাশ্রয়ী মানুষগুলোকে দেখায় যে আপনি একটি যুদ্ধে পরাজিত

এবং তাদের ক্ষমতাকে যা জীবন্ত এবং দেশে কে পুনঃনির্মানের পণকে অস্বীকার করা

যা শুধু সংহিসতার পরবর্তী বীজকেই বোপন করছে

যে কোনো ভাবে আমাদের এই বৃত্তকে ভাঙ্গতে হবে

সাবটাইটেল: জোবদাতুল জাবেদ।