ইতিহাসের আগে কি ঘটেছিল? মানব উত্পত্তি। | Kurzgesagt

🎁Amazon Prime 📖Kindle Unlimited 🎧Audible Plus 🎵Amazon Music Unlimited 🌿iHerb 💰Binance

ভিডিও

ট্রান্সক্রিপ্ট

আমাদের চারপাশের পৃথিবীকে মনে হয় স্বাভাবিক এবং গতানুগতিক।

মনে হয়, যেন এভাবেই মানব সম্প্রদায় টিকে আছে এবং সবসময় ছিল।

কিন্তু, না।

আজকের মতো এমন জটিল এবং আমাদের প্রয়োজন অনুসারে সাজানো পৃথিবী আগে কখনও ছিল না।

যা আমাদের টিকে থাকার সংগ্রামকে ভুলে থাকার সুযোগ করে দিয়েছে।

খাদ্য, বাসস্থান, নিরাপত্তা - মোটামুটি এগুলো আমরা নিশ্চিতভাবে ধরেই নিয়েছি।

কিন্তু আমরা মুষ্টিমেয় কতক আলাদা, মানব ইতিহাসের ৯৯.৯৯শতাংশই সম্পূর্ণ অন্যরকম ছিল।

আর মানব ইতিহাস মানে কিন্তু একটা ইতিহাস নয়।

আমাদের ইতিহাস শুরু ৬০ লক্ষ বছর আগে যখন হোমিনিনি গোত্র পৃথক হয় এবং বানরদের সাথে আমাদের সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়।

২৮ লক্ষ বছর আগে, হোমো গণ অর্থাৎ প্রথম মানবজাতির উদয় হয়।

আমরা মনে করি যেন আমরাই শুধু মানুষ, কিন্তু তা মোটেই সত্য না

২ লক্ষ বছর আগে যখন আমরা অর্থাৎ হোমো স্যাপিয়েন্স স্যাপিয়েন্স আসলাম, কমপক্ষে ৬টা মানব প্রজাতির অস্তিত্ব ছিল তখন।

তুলনা-যোগ্য বুদ্ধিমত্তা-সম্পন্ন জ্ঞাতিভাই, হয়তো ভীতিকর অবস্থাই ছিল, যেন ভিন গ্রহের প্রাণীদের সাথে বসবাস।

[হোমো ইরেক্‌টাস] তাদের কেউ কেউ বেশ সফলও ছিল।

উদাহরণস্বরূপ, হোমো ইরেক্‌টাস প্রজাতি ২০ লক্ষ বছর ধরে টিকে ছিল।

আমরা আধুনিক মানুষ যতদিন ধরে টিকে আছি তার দশগুণ।

দশ হাজার বছর আগে নাগাদ বাকি সব মানব প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে যায়।

তাদের বিলুপ্তির কারণ আমরা ঠিক জানি না।

আধুনিক মানুষের মধ্যে কয়েক শতাংশ ‘নিয়ান্ডারথাল’ ও অন্যান্য মানব DNA রয়েছে। তারমানে কিছু মিশ্রণ ঘটেছিল।

কিন্তু এত পরিমাণে নয় যাকে আন্ত-প্রজাতি মিলন বলা চলে।

তো, টিকে থাকার প্রতিযোগিতায় হেরে গিয়ে, নাকি কতক ছোটখাটো গণহত্যার মধ্যে দিয়ে আমাদের জ্ঞাতিভাইরা বিলুপ্ত হয়েছে আমরা জানি না।

সে যাই হোক, আমরা টিকে গেলাম।

মানব ইতিহাসের শুরুতে ফিরে যাই।

২৮ লক্ষ বছর আগেও, আদি মানুষেরা কাজের সরঞ্জাম ব্যবহার করত কিন্তু প্রায় ২০ লক্ষ বছরেও তাদের তেমন অগ্রগতি হয়নি।

যতদিন না তারা আগুনকে ব্যবহার করতে শিখেছে।

আগুন মানে রান্না, ভাল পুষ্টি, যা আমাদের বুদ্ধিমত্তার বিকাশে সাহায্য করেছে।

এছাড়াও আগুন থেকে যে আলো আর উষ্ণতা পাওয়া যেত, তা দিনের দৈর্ঘ্য বাড়িয়ে দিত আর শীতের কষ্ট কমাত।

তার উপর, শুধু যে আগুন বন্যপ্রাণী দুরে রাখত তাই না, শিকারের কাজেও ব্যবহৃত হত।

বন বা তৃণভূমিতে আগুন লাগলে সেখান থেকে আধা-পোড়া অবস্থায় ছোট ছোট প্রাণী, বাদাম বা কন্দ (মুথা) পাওয়া যেত।

৩ লক্ষ বছর আগে থেকে, বিভিন্ন মানব প্রজাতি ছোট শিকারি-সংগ্রাহক সমাজে বাস করত।

তাদের ছিল আগুন, কাঠ ও পাথরের হাতিয়ার, ভবিষ্যতের জন্য পরিকল্পনা, তারা মৃতদের সমাহিত করত, এবং তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি ছিল।

কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল, তারা একে অপরের সঙ্গে কথা বলতে পারত।

সম্ভবত আমাদের চেয়ে কম জটিল এক ধরনের আদিম-ভাষাতে।

যদি আমাদের একটি টাইম মেশিন থাকে, তাহলে কতখানি অতীতে ফিরে গিয়ে আমরা কয়েকটা

মানব শিশু চুরি করে এনে বর্তমান সময়ে লালন পালন করলেও কেউ পার্থক্য ধরতে পারবেনা?

এটা বিতর্কের বিষয়।

দেহগঠন অনুযায়ী, আধুনিক মানুষের উদ্ভব ২ লক্ষ বছর আগে।

কিন্তু যদি আমরা আচরণগত ভাবে আধুনিক মানুষের মত কাউকে নিয়ে আসতে চাই তাহলে আমরা সম্ভবত সর্বোচ্চ ৭০ হাজার বছর আগে পর্যন্ত ফিরে যেতে পারব।

যে আগে, শিশুদের সম্ভবত কয়েক গুরুত্বপূর্ণ জেনেটিক মিউটেশন থাকবে না

যা আধুনিক ভাষা এবং বিমূর্ত চিন্তা ক্ষমতায় পারদর্শী মস্তিষ্ক গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয়।

প্রায় ৫০ হাজার বছর আগে এক সময়ে, আবিষ্কারের একটি বন্যা বয়ে গিয়েছিল.

সরঞ্জাম এবং অস্ত্র, আরো পরিশীলিত হয়ে ওঠে এবং সংস্কৃতি আরও জটিল হয়ে ওঠে।

কারণ এই সময়ে, মানুষের মস্তিষ্ক বহু কাজের উপযোগী ছিল।

আর ছিল উন্নততর ভাষা যা একে অপরের সাথে কার্যকর ভাবে তথ্য যোগাযোগ করতে

এবং পুঙ্খানুপুঙ্খ ব্যাখ্যা দিতে কাজে লাগত।

এর মাধ্যমে আরও সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি হয়, যা কিনা সত্যিই আমাদের পৃথিবীর অন্যান্য প্রাণীর থেকে আলাদা করে তোলে।

আমাদের তুলনামূলক ভাবে দুর্বল দেহগঠন বা হীনতর ইন্দ্রিয় ক্ষমতার জন্য নয়।

বরং বড় দলে, সহজে সহযোগিতা করার ক্ষমতার জন্য। উদাহরণস্বরূপ, আস্ত মৌচাকের মধ্যে

বা ঘনিষ্ঠ, কিন্তু ছোট নেকড়ে প্যাকগুলির মধ্যে উভয় সুবিধা নেই।

আমাদের মস্তিষ্কের বিকাশের ফলে, আমরা এমন কিছু করতে সমর্থ হলাম, প্রাণের ইতিহাসে যা আগে কখনও সম্ভব হয়নি।

এক - দ্রুত জ্ঞান প্রসারণ করা।

দুই - বংশপরম্পরায় অর্জিত জ্ঞান সংরক্ষণ করা।

তিন - অতীত জ্ঞানের উপর নির্ভর করে আরও গভীর পরিজ্ঞান লাভ করা।

বোকামি মনে হতে পারে, কিন্তু তখন পর্যন্ত, তথ্য প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের হস্তান্তর করা ছিল,

বেশিরভাগ জেনেটিক্স এর মাধ্যমে, যা তেমন ফলপ্রদ নয়।

তা সত্ত্বেও, পরবর্তী ৪০ হাজার বছরে, মানুষের জীবন কমবেশি একই রকম রয়ে গেছে।

গড়ে তোলার মত তেমন কোন ভিত্তি ছিল না।

আমাদের পূর্বপুরুষেরা বহু প্রাণীর মধ্যে যেন একটি সাধারণ প্রাণী হিসেবে বাস করতেন।

বাড়ি কাকে বলে তা না জেনে আকাশচুম্বী ইমারত নির্মাণ করা… কঠিন বটে।

তবে পূর্বপুরুষদের প্রতি আমাদের অহংকারী মনোভাব থাকাটা সহজাত হলেও, তা করাটা ভুল হবে।

৫০ হাজার বছর আগের মানুষগুলো টিকে থাকার বিশেষজ্ঞ ছিল।

তারা তাদের এলাকার একটি বিস্তারিত মানসিক মানচিত্র করে রাখত।

তাদের ইন্দ্রিয়গুলো পরিবেশের জন্য উপযোগী।

তারা উদ্ভিদ এবং প্রাণীর সম্পর্কে প্রচুর তথ্য জানত এবং মনে রাখতে পারত।

তারা এমন সব জটিল সরঞ্জাম তৈরি করতে পারত যা করতে বছরকে বছর প্রশিক্ষণ এবং কারিগরি দক্ষতার প্রয়োজন হয়।

তাদের দৈনন্দিন কাজের কারণে তাদের দেহ ছিল আজকের দিনের ক্রীড়াবিদদের সাথে তুলনা দেওয়ার মতো,

এবং তারা তাদের গোত্রের মধ্যে একটি দারুণ সামাজিক জীবন যাপন করত।

বেঁচে থাকার প্রতিযোগিতায় এমন সব দক্ষতার প্রয়োজন হয়, হতে পারে আদিম মানুষের মস্তিষ্কের আয়তন

হয়তো আজকের দিনের তুলনায়ও বেশি ছিল।

দলগত ভাবে আমরা আজ অনেক বেশি জানলেও ব্যক্তিগত পর্যায়ে আমাদের পূর্বপুরুষরা আমাদের অনেক উপরে ছিল।

কিন্তু তারপর প্রায় ১২ হাজার বছর আগে, একাধিক অবস্থানে, মানুষ কৃষিকাজ উদ্ভাবন করে।

সবকিছুর খুব দ্রুত পরিবর্তন ঘটে।

পূর্বে, শিকারি বা সংগ্রাহক হিসেবে বেঁচে থাকতে সবারই সব দিক দিয়ে চমৎকার মানসিক এবং শারীরিক দক্ষতার প্রয়োজন হতো।

কৃষিযুগ এর সূচনা হতে লোকজন ক্রমবর্ধমান ভাবে বেঁচে থাকার জন্য অন্যের উপর নির্ভর হতে শুরু করল।

এর মানে, তাদের কেউ কেউ অন্য কাজে পারদর্শী হওয়া শুরু করলো।

হয়তো তারা ভাল সরঞ্জাম বানাত, হয়তো তারা ভালো রোগপ্রতিরোধী ফসল অথবা ভাল প্রাণিসম্পদ তৈরিতে সময় দিতেন,

হয়তো তারা কিছু উদ্ভাবনা শুরু করেছিল

যখন কৃষিকাজ আরো আরো কার্যকর হওয়া শুরু করলো, আজ আমরা যাকে সভ্যতা বলি তার সূচনা হতে শুরু করল।

কৃষি আমাদের একটি নির্ভরযোগ্য খাদ্য উৎস দিয়েছিল।

`ফলে প্রথমবারের মতো মানুষ বড়োসড়ো আকারে খাদ্য মজুদ করতে সমর্থ হল।

মাংসের তুলনায় শস্যদানার ক্ষেত্রে যেটা অনেক সহজ কাজ।

মজুদ খাদ্যের জন্য প্রয়োজন নিরাপত্তা, যার জন্য তারা আরও নিগূঢ়ভাবে আবদ্ধ সমাজে বাস করত

প্রথমে, আদি প্রতিরক্ষা কাঠামো নির্মাণ করা হয়, ফলে সংগঠন গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।

আমরা যতই সংগঠিত হয়ে উঠলাম, জীবনযাপন ততটাই সাশ্রয়ী হতে লাগল।

গ্রাম হয়ে ওঠে শহর, শহর হয়ে ওঠে রাজ্য, রাজ্যগুলি হল সাম্রাজ্য।

মানুষের জ্ঞান বিনিময় করার সুযোগ শুরু হয় যোগাযোগের উন্নতির ফলে।

অগ্রগতির হার হলো ক্রমবর্ধমান।

প্রায় ৫০০ বছর আগে বৈজ্ঞানিক বিপ্লব শুরু হয়

গণিত, পদার্থ বিজ্ঞান, মহাকাশবিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান ও রসায়ন আমরা যা জানতাম সবকিছু বদলে দিয়েছে।

এরপর আধুনিক বিশ্বের ভিত্তি করে দিতে এলো শিল্পবিপ্লব।

আমাদের সামগ্রিক দক্ষতা ক্রমবর্ধমান হরে বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে,

আরো মানুষ তাদের সারা জীবন কাটিয়ে দিতে পারত মানবতার উন্নতিতে অবদান রাখতে।

বিপ্লব থেমে থাকেনি।

কম্পিউটার আবিষ্কার আর আমাদের প্রতিদিন ব্যবহারযোগ্য মাঝারি আকারে রূপান্তর,

এবং ইন্টারনেটের উত্থানের আমাদের পৃথিবীকে আজকের রূপ দিয়েছে।

কত দ্রুত এই পরিবর্তনগুলো ঘটেছে তা উপলব্ধি করা কঠিন।

প্রথম মানব প্রজাতির উদ্ভব হওয়ার পর প্রায় ১,২৫,০০০ প্রজন্ম পার হয়েছে।

আমাদের সাথে শারীরিকভাবে সদৃশ মানুষ প্রথম আলোর মুখ দেখে ৭,৫০০ প্রজন্ম আগে।

৫০০ প্রজন্ম আগে, আমরা যাকে সভ্যতা বলি তা শুরু হয়।

মাত্র ২০ প্রজন্ম আগে আমরা বিজ্ঞান শিখেছি।

আর ইন্টারনেট শুধুমাত্র এক প্রজন্ম আগে অধিকাংশ মানুষের কাছে সহজলভ্য হয়ে ওঠে

আজ আমরা মানব ইতিহাসের সবচেয়ে সমৃদ্ধশালী যুগে বসবাস করছি।

আমরা এই পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের গঠন থেকে শুরু করে বড়ো ধরণের ভূপ্রাকৃতিক পরিবর্তন এনেছি।

এবং অন্যান্য প্রাণীদের অস্তিত্বেও বড় পরিবর্তন এনেছি।

আমরা কৃত্রিম নক্ষত্র নিয়ে রাত্রি উজ্জ্বল করে রাখি এবং আকাশে ধাতব বাক্সে করে লোক পাঠাই।

কেউ কেউ এমনকি আমাদের চন্দ্রপৃষ্ঠে পদচারণা করেছেন।

আমরা অন্যান্য গ্রহে রোবট পাঠিয়েছি।

আমরা যান্ত্রিক চোখ দিয়ে মহাবিশ্বের সুদূর অতীত পর্যবেক্ষণ করেছি।

আমাদের জ্ঞান ও অর্জন এবং এটি আরও সংরক্ষণকারী আমাদের উপায় বিস্ফোরিত হয়েছে

আজকের একজন সাধারণ কলেজ শিক্ষার্থী কয়েক শতাব্দী আগের একজন পণ্ডিত লোকের তুলনায়ও মহাবিশ্ব সম্পর্কে অনেক বেশি জানে।

মানুষ এই গ্রহে আধিপত্য করছে, এমনকি যদি আমাদের নিয়ম খুবই ক্ষণস্থায়ী

আমরা এখনও ৭০ হাজার বছর আগে আমাদের পূর্বপুরুষ থেকে তেমন আলাদা নই।

কিন্তু আপনার এই জীবনধারা মানব ইতিহাসের ০.০০১% এরও কম সময় ধরে রয়েছে।

এর পর, কেউ জানেনা কি আছে ভবিষ্যতের ঝুলিতে।

আমরা আকাশচুম্বী দালান নির্মাণ করছি, কিন্তু আমরা জানি না কোনো শক্ত ভিত্তির উপর দাড়িয়ে আছে,

নাকি চোরাবালির উপর?

আসুন আজ এখানেই শেষ করি।

এর পর আপনি যেদিন ট্রেন মিস করবেন, বা আপনার বার্গার যথেষ্ট গরম থাকবে না, কিংবা কেউ লাইনে আগে গিয়ে দাঁড়াবে,

মনে রাখবেন, মানুষের বানানো এই দুনিয়া কত বিশেষত্ব বহন করে।

হয়তো এসব সামান্য বিষয় নিয়ে বিপর্যস্ত হওয়ার তেমন দরকার নেই।

ঠিক আছে, এটা ছিল ইতিহাস-সংক্রান্ত ভিডিও তৈরিতে আমাদের প্রথম প্রচেষ্টা।

আমরা আরও অনেক কিছু করতে চাইতাম, কিন্তু এগুলো আমাদের সাধারণ ভিডিও থেকে বেশি সময় নেয়।

সুতরাং আমরা বছরে ৩ কি ৪ টি হয়তো করতে পারব।

এক্ষেত্রে আপনার মতামত খুবই গুরুত্বপূর্ণ

দেখার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, এবং আপনি যদি সরাসরি আমাদের সহায়তা করতে চান তাহলে,

আপনি Patreon এ এটি করতে পারেন.

তাতে সত্যিই আমরা উপকৃত হই।

আপনি এটা নিয়ে ভাবতে ভাবতে, এই নিন আরও কয়েকটি ভিডিও আপনার চিত্তবিনোদনের জন্য